একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন সফলতার কোন শর্টকাট নেই। আপনি প্রোগ্রামিং না শিখে কখনোই একজন প্রফেশনাল সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট হতে পারবেন না।
যেহেতু আপনার লক্ষ্য একজন সিকিউরিটি রিসার্চার হয়ে বিদেশি কোম্পানিতে চাকরি করা তাই ধরে নিচ্ছি আপনি এই বিষয়ে সিরিয়াস। তাই সেই হিসেবেই গাইডলাইন দিচ্ছি আশাকরি ঠিকমতো ফলো করলে একজন ভালো হ্যাকার হতে পারবেন।
অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে জানুন
একজন এক্সপার্ট হ্যাকার হতে গেলে আপনাকে প্রথমে অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে ভালো করে জানতে হবে বিশেষ করে লিনাক্স সমন্ধে ভালো ধারণা থাক লাগবে। লিনাক্সের বিভিন্ন ডিস্টো আছে যেমনঃ কালি , প্যারট, আর্চ ইত্যাদি। তবে কালি লিনাক্স সমন্ধে ভালো করে শিখতে পারেন। প্রায় সকল সিকিউরিটি এক্সপার্ট, হ্যাকার কালি ব্যবহার করে থাকে। কালি লিনাক্সের কমিনিউটি অনেক বড় তাই কোথাও প্রবলেমে পড়লে হেল্প পাবেন আর শেখার রিসোর্স ও অনেক।
শুধু যে লিনাক্স জানলে হবে তা নয়, আপনাকে উইন্ডোজ, ম্যাক,আরো অনান্য অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে জানতে হবে। অনন্ত ধারণা থাকতে হবে। আপনি ভার্চুয়াল বক্সে সব কিছু একসাথে ব্যবহার করতে পারবেন, আলাদা আলাদা কম্পিউটার লাগবেনা এর জন্য।
প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ
একজন এক্সপার্ট বা প্রফেশনাল হ্যাকার হতে গেলে আপনাকে অবশ্যই একের অধিক প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ভালো ভাবে জানার লাগবে নয়তো স্ক্রিপ্ট কিডি হয়ে থাকবেন। প্রগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ জানা থাকলে আপনি নিজেই হ্যাকিং টুল তৈরি করতে পারবেন। নিজের প্রয়োজনে বিভিন্ন টুল মডিফাই করে ব্যবহার করতে পারবেন। হ্যাকিং এরর জন্য , সি, পাইথন, জাভা, জাভাস্ক্রিপ্ট, পার্ল, রুবি, গো, ব্যাশ স্ক্রিপ্টিং এগুলো শিখতে পারেন। তবে ম্যালওয়ার ডেভলাপ করার জন্য লো লেভেল ল্যাংগুয়েজ ভালো এর জন্য সি ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া অটোমেশন এর জন্য পাইথন তো আছেই।
নেটওর্য়াকিং
নেটওয়ার্কিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ হ্যাকিং এর জন্য। আপনাকে ভালো করে বুঝতে হবে কিভাবে নেটওর্য়াক কাজ করে। বিভিন্ন নেটওয়ার্ক টপোলজি, প্রটোকল সমন্ধে জানা লাগবে। বিভিন্ন নেটওয়ার্কিং টুল যেমনঃ wireshark, Nmap, Hydra ইত্যাদি সমন্ধে জনা লাগবে।
অ্যানোনিমাস থাকা
একজন হ্যাকার কখন নিজেকে সফল বলবে? যখন সে অ্যানোনিমাস ভাবে হ্যাকিং করতে পারবে কেউ তাকে ধরতে পারবেনা..আর এজন্য অ্যানোনিমাস থাকা জরুরি। ভিপিএন, আরডিপি, সকস, প্রক্সি, টর ব্রাউজার এগুলো ব্যবহার করা জনা লাগবে৷ তাছাড়া ডিপ ওয়েব, ডার্কওয়েব সমন্ধ জানতে পারেন।
OWSP 10 সমন্ধে জানা
OWSP 10 হলো সাধারণ ১০ টি ওয়েব আ্যাপলিকেশন সিকিউরিটি রিস্ক যেমনঃ এসকিউএল ইনজেকশন, ক্রস সাইট স্ক্রিপ্টিং, ব্রোকেন একসেস কন্ট্রোল .......... এগুলো সমন্ধ জানা লাগবে৷
উপরের সবকিছু সহ আরো নানা বিষয় যেমন রির্ভাস ইন্জিনিয়ারিং, ক্রিপ্টোগ্রাফি, ক্রাকিং ইত্যাদি বিষয়ে জানতে হবে যা আপনাকে একজন এক্সপার্ট হ্যাকার হিসাবে গড়ে তুলবে।
এখন আসি বিদেশে চাকরির ব্যাপারে
আপনার যদি প্রোপার স্কিল থাকে তাহলে চাকরি আপনার জন্য তেমন ব্যাপার না। আপনি আপওর্য়াক, ফাইবারে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করতে পারবে। তবে চাকরির জন্য অ্যাপলাই করার আগে দেখবেন তারা কি কি স্কিল চায়, সেগুলো যদি আপনার থাকে তাহলে অ্যাপলাই করবেন। না থাকলে সেগুলো শিখে নিবেন তারপর অ্যাপলাই করবেন। অ্যাপলাই করার আগে নিজের সিভি ভালো করে তৈরি করবেন কি কি স্কিল আছে সেগুলা সুন্দরভাবে উল্লেখ করবেন। তারপর নিজের কিছু প্রজেক্ট রাখবেন। আর চাকরির জন্য কোথায় আবেদন করবেন নিশ্চয়ই এটা বলতে হবেনা কারণ গুগলে সার্চ করলে হাজার হাজার জবের পোস্ট দেখতে পারবেন।
প্রথমেই বলেছিলাম সফলতার কোন শর্টকার্ট নেই, সময় নেন ধৈর্য় ধরে পরিশ্রম করে স্কিল ডেভলাপ করেন। আপনি নিজেই জেনে যাবেন কোনটার পর কোনটা আপনাকে শিখতে হবে। জাস্ট একবার শুরু করে দেন।
Never stop learning 🤙
No comments:
Post a Comment