আপনি যদি হ্যাকিং বা সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে আগে একটু জানেন তাহলে আপনি অবশ্যই কোন না কোন সময় কার্ডিং শব্দটি শুনেছিলেন। ব্ল্যাক হ্যাটস হ্যাকারদের আয়ের অন্যতম উৎস হচ্ছে কার্ডিং। আজকে আমরা জানব কিভাবে কার্ডিং করা হয়ে থাকে? আমরাও কিভাবে একজন প্রো কার্ডার হবো
সতর্কীকরণঃ কার্ডিং একটি সম্পূর্ণ অবৈধ উপায় এবং আইনত দন্ডনীয় অপরাধ । এই পোস্টটি শুধুমাত্র শিক্ষার উদ্দেশ্য। কোন খারাপ উদ্দেশ্য কাজে লাগলে তার জন্য ট্রিকমেন্টর দায়ী থাকবেনা।
কার্ডিং কি?
কার্ডিং নামটা শুনে হয়তো আপনার কার্ড যেমন ক্রেডিট কার্ড / ডেবিট কার্ডের কথা মনে পড়ে। হ্যাঁ তা ঠিকই। কার্ডিং হচ্ছে একটা ট্রিক যার মাধ্যমে অবৈধ ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে পণ্য কেনা হয়। এসব ক্রেডিট কার্ড সাধারণ হ্যাকেড কার্ড বা ডার্কওয়েব থেকে কিনে ব্যবহার করা হয়।
কার্ডার কে?
কার্ডার হচ্ছে এমন একজন ব্যাক্তি যিনি অবৈধ ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে পণ্য কিনে থাকে।
কার্ডিং শুরু করতে কি কি লাগে?
১ঃ কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ।
২ঃ সকস(Socks) অথবা ভিপিএন (VPN)।
3: ম্যাক অ্যাড্রেস চেন্জার।
৪ঃ সিসি ক্লিনার
৫ঃ আরডিপি(RDP)
6: ড্রপ(Drop)
7: CC (ক্রেডিট কার্ড)
১ঃ কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ
কার্ডিং এর জন্য আমরা সবসময় একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করব। অনেক কার্ডার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কিন্তু এটি কম নিরাপদ।
২ঃ সকস(Socks)
সকস হচ্ছে একটি ইন্টারনেট প্রোটোকল যেটা ক্লায়েন্ট আর সার্ভার এর মধ্যে প্রক্সি হিসাবে কাজ করে। তাই আমাদের রিয়েল আইপি হাইড করে আর প্রক্সি আইপি দেখায়।
আমরা ক্রেডিটকার্ডের মালিকের লোকেশনের সাথে মিল রেখে লোকেশন ম্যাচ করবো এতে সফল ভাবে ট্যানজেকশন হবে। এতে আমাদের ডিএনএস(DNS) লিক হবেনা যেটা ভিপিএন করে। তাই সকস ইউস করা বেশি নিরাপদ
৩ঃ ম্যাক আ্যাড্রেস চেন্জার
ম্যাক অ্যাড্রেস(Media Access Control) এটা প্রত্যেকটা নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড এর (NIC) এর ইউনিক অ্যাড্রেস। ম্যাক অ্যাড্রেস চেন্জ করার ফলে আমাদের অ্যনোনিমিটি বজায় থাকে আমার আরো সেফ থাকবো।
৪ঃ সিসি ক্লিনার
সিসি ক্লিনার ব্রাউজিং হিস্টোরি, কুকিস, টেম্পফাইলস ক্লিন করতে ব্যবহৃত হয়। অনেকে এই বিষয়টাকে তেমন গুরুত্ব দেয়না কিন্তু এটা আমরা করবো নাহলে ধরা পড়ে যেতে পারেন। সাবধানের মার নেই
৫ঃ আরডিপি(Remote Desktop Protocol)
আরডিপি হচ্ছে মাইক্রোসফট এর ডেভলপ করা প্রটোকোল, এটা আমাদের একটি গ্রাফিকাল ইন্টার ফেস দেয় যার মাধ্যমে আমরা একটা কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে কানেক্টে করে ব্যবহার করতে পারি। সিকিউরিটি এর জন্য আমরা আরিডিপি ব্যবহার করব।
৬ঃ ড্রপ
মনে করেন আপনি ইউএস এ তে কার্ডিং করবেন এখন আপনি ইউএসএতেই যদি শিপিং নেন তাহলে সেটা সফলভাবে হবে, অন্য দেশে নিতে চাইলে হয়তো সমস্যা হতে পারে। অন্যদেশে পণ্য আনতে চাইলো আপনি ড্রপ সার্ভিস ব্যবহার করবেন, এর জন্য আপনাকে এক্সট্রা পে করতে হবে।
৭ঃক্রেডিটকার্ড
এই পার্টটি হলো কার্ডিং এ আসল। যারা ইতিমধ্যে ক্রেডিট কার্ড ইউস করেছেন তারা হয়তো জানবেন ক্রেডিট কার্ড করিকম আর কিভাবে ইউস করতে হয়। ক্রেডিট কার্ড মূলত এই রকম হয়ে থাকে
credit card Number |Exp Date| CVV2 code | Name on the Card | Address | City | State | Country |
ক্রেডিট কর্ডের প্রকারভেদ
ক্রেডিট কার্ডের কোম্পানি হিসবে এদের নাম্বার বিভিন্ন হয় থাকে । কিছু কোম্পানি যেমন American Express (AMEX) – 3 Visa – 4 MasterCard (MC) – 5 Discover (Disco) ক্রেডিট কার্ড দিয়ে থাকে।
প্রত্যেকটি কোম্পানির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কার্ড থাকে যেমন ক্লাসিক, গোল্রড, প্লাটিনাম ইত্যাদি। এইসব কার্ডের ট্যানজেকশনের লিমিট বিভিন্ন প্রকার হয়
বিনঃ Bank Identification Numbe
কার্ডের প্রথম ছয়টি নাম্বার হচ্ছে BIN যেমনঃ 486236
BIN সংগ্রহ করার বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে যেমনঃ
www.exactbins.com
www.bins.pro
কার্ডিং এর প্রকারভেদ
কার্ডিং সাধারণত তিন প্রকার হয়ে থাকে
১ঃ ইজি কার্ডিং
২ঃ ইন্টারমিডিয়েট কার্ডিং
৩ঃ হার্ড কার্ডিং
১ঃ ইজি কার্ডিং
এটাকে বিগিনার লেভেলের কার্ডিং বলা হয়ে থাকে সাধরণ $৫০ এর নিচে যে-সব কার্ডিং করা হয় তাকে ইজি কার্ডিং বলা হয়।
২ঃ ইন্টামিডিয়েট কার্ডিং
এই লেভেলে কার্ডার $50 এর উপরে খরচ করে বা ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট কিনে।
৩ঃ হার্ড কার্ডিং
এটাকে অ্যাডভান্সড কার্ডিং হিসাবে ধরা হয়। এখানে কোন লিমিট নাই, কার্ডার যে কোন পণ্য কিনে, ল্যাপটপ, মোবাইলফোন ইত্যাদি। তবে উপদেশ থকবে ইজি থেকে হার্ডে যাওয়া। হার্ড কার্ডিং এ রিস্ক বেশি থাকে।
কিভাব৷ কার্ডিং করবেন?
প্রথমে ফারফক্স ব্রাউজার ওপেন করুন , অপশনে যান তারপর অ্যাডভান্সড তারপর নেটওয়ার্ক setup port and proxy এখন সকস হোস্ট আইপি সেট করুন।
এবার একটা জিমেইল অ্যাড্রেস তৈরি করুন কারণ এই জিমেইল দিয়েই আপনি ই-কমার্স সাইটে রেজিস্ট্রার করবেন আর প্রোডাক্ট অর্ডার দিবেন। এবার আরডিপি ওপেন করুন তারপর ম্যাক অ্যাড্রেস চেন্জ করে নিবেন, সিসি ক্লিনার চারু করবেন, এবার ফায়ারফক্সে যাবেন তারপর যেই সাইট থেকে পণ্য কিনবেন সেই ওয়েবসাইটে প্রবেম করবেন প্রোডাক্ট অর্ডার দিবেন। তারপর পেমেন্ট অপশনে গিয়ে ক্রেডিট কার্ডের ডিটেইলস দিবেন সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পেমেন্ট সফল ভাবে হয়ে যাব , আর কিছুদিনের মধ্যে আপনি পণ্য পেয়ে যাবেন।
রিকমেন্ড থাকলো প্রথমে ছোট ছোট অ্যমাউন্টের জিনিসপত্র কিনবেন, একেবারে বড় ধরণের পেমেন্ট করতে গেলে হয়তো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যদি মোবাইল দিয়ে কার্ডিং করতে চান তবে প্রথমে ফোনটি রুট করে নিবেন। তবে নির্দেশ থাকলো মেবাইল দিয়ে কার্ডিং না করা।
উপরের সবকিছু যদি মেনে চলেন তাইলে আপনি অবশ্যই সফল হবেন, এবং আস্তে আস্ত প্রো কার্ডার হয়ে যাবেন। তবে নির্দেশ থাকলো কার্ডিং না করা
কারণ এগুলো অবৈধ এবং রিস্কি। এই পোস্টটি শুধু মাত্র শিক্ষার জন্য ।
No comments:
Post a Comment