Time

|

July 02, 2021

 

TOP 13 APP FOR STUDENTS

S.M.Virus


ছাত্রজীবনের প্রতিটা সেকটরে আমাদের চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। ক্লাসের পড়া, এসাইনমেন্ট, এক্সাম, ফ্রেন্ড্রদের সাথে আড্ডা, বিভিন্ন প্রোগ্রাম, ফোরাম, গ্রুপিং! কত কিছু মেইনটেইন করতে হয় আমাদের!

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবন টা একটু সহজ হলে!

এই সববিষয় গুলো মাথায় রেখে কিছু প্রয়োজনীয় এপের একটা লিস্ট বানিয়ে ফেললাম। চল দেখা যাক কি এমন গুরুত্বপূর্ণ এপ্স যা প্রতিটা স্টুডেন্টের থাকা উচিত?


১।  Group Chat!

আচ্ছা যদি এমন কোন এপ থাকত, যেখানে আনলিমিটেড ফাইল, টেক্সট, ডকুমেন্ট সেয়ার করা যেত! দেখতে যেন  Cool হয়! Messenger, Whatsapp, Viber, Skype  আর ভালো লাগেনা। সবাই ত ইউজ করে এগুলা। একটু ডিফ্রেন্ট কিছু চাই! তুমার চিন্তা ভাবনা যদি এমনটাই হয়, তবে ইউজ করতে পারো- "DISCORD"
অস্থির interface, coolest app ever!

সুবিধাঃ
১। Group Chat
২। Unlimited File Sharing (any type extenstion)
৩। Video Call, Voice Call (HD)
৪। hash tag আরো অনেক কিছু!

ত, নামিয়ে ফেলঃ


২। পারসোনাল নোটঃ

recomand করব Evernote ইউজ করতে। evernote এ তুমি যেকোন রকমের ফাইল+ গুরুত্ব পূর্ন কোন নোট লিখে রাখতে পারবে। পিসি বা তুমার smartphone যেটাই হোক, simple একটা account খুলে, same acoount দিয়ে তুমি যেকোন পিসি , smartphone যেখানে ইচ্ছা লগিন করে তুমার সেভ করা নোট গুলো দেখে নিতে পারো।
much more Similar as: GOOGLE  KEEP


৩। টাইমটেবিলঃ

ক্লাসের প্রথম দিন টাইমটেবিল টা হাতে পেয়ে আমাদের মনে প্রথম যে চিন্তাটা আসে, তা হলো এবার পড়ে ফাটিয়ে দিব। আজকে বাসায় গিয়েই একটা রুটিন করে ফেলব, কখন কোন সাবজেক্ট পড়ব, কখন ম্যাথ করব, কখন গেমস খেলব, কখন আড্ডা দিব। কাগজ কলম নিয়েই আমরা প্ল্যান বানানো শুরু করি। একটু think করত, যদি এই কাজটাই তুমি একটা এপের মাঝে করে ফেলতে পারো, কেমন হয়? যেখানে তুমার চাহিদা মত সব থাকবে, শুধু তুমার নিজের মত করে সাজিয়ে নেয়া।
তাহলে নামিয়ে ফেল, My Study Life


৪। Office - ডকুমেন্ট বা প্রেজেন্টেশনঃ

office এর কথা চিন্তা করলেই মাথায় চলে আসে micrOsoft office, Word, PowerPoint, Excell! তবে MS office এর এতগুলা version, অনেকেই confused হয়ে যাই কোন version টা use করব। তাছাড়া smartphone গুলোর জন্য কি আলাদা কিছু use করা যায় কিনা?

যাইহোক, তোমরা জান কিনা জানিনা, MS office 2016 Education যে version এটা শুধুমাত্র .edu domain মানে স্টুডেন্টস, টিচারদের জন্য বানানো হয়েছে। তুমার যদি কোন .edu ডোমেইন- এর email থাকে, তাহলে $149.99 ডলারের এই সফটওয়্যার টি তুমি ফ্রি তে পেয়ে যাবে। আর না থাকলে KMS বা reloader ত আছেই, তাইনা?

যারা android user তাদের জন্য best OFFICE SUITE Pro
যারা IOS/MAC user তারা Polaris বা MS Office use করতে পারো
আর Linux user দের এর জন্য Libre best


৫। বই পড়ার জন্যঃ

বর্তমানে pdf এবং epub এই দুটি ফরমেটের বই খুব দেখা যাচ্ছে। আর এপ স্টোর গুলোতে pdf reader এর অভাব নেই। এখন এত কিছুর ভীড়ে আমাদের দরকার যেটি সবচেয়ে ভালো, এবং চোখের প্রটেক্ট করে এমন একটি pdf রিডার।

পিসি ইউজার দের জন্য adobe was best, এখন adobe এর চেয়েও ভালো অনেক পিডিএফ রিডার রয়েছে। আমি recomand করব- Sumatra PDF ইউজ করতে। এটি খুব ফাস্ট এবং simple!

যারা android user তাদের জন্য- Moon Reader Pro টা খুব ভালো, যেকোন ফরমেট সাপোর্ট করে। আর যদি simple চাও ত, GOOGLE PDF Reader ভালো।


৬। ক্লাসনোটঃ

অনেক সময় ক্লাসে কোন নোটের ফটো নিতে হয়, কিন্তু বাসায় গিয়ে দেখা যায় ফটোগুলো এক একট ভিন্ন ভিন্ন সাইজের হয়ে গিয়েছে। দেখতে কেমন বিচ্ছিরি লাগে। যদি তুমি এই নোট গুলোই PDF বা বই আকারে পেতে, কত সুবিধা হতো তাইনা?
এজন্য তুমি use করতে পারো, CamScanner


৭। ম্যাথ ক্যালকুলেটরঃ 

ধর তুমি ম্যাথ এক্সাম দিয়ে বের হলে, এখন তুমি জান না ৬নাম্বার question টার answer কত! বা ফ্রেন্ডরাও Confusion এ রয়েছে। এখন যদি এমন হয়, সেই question টার উপরে তুমার mobile টি ধরা মাত্রই তুমার answer স্ক্রিনে চলে এসেছে, তাহলে কেমন হয়?
তাহলে ডাওনলোড করে নাওঃ PHOTO MATH 

যদি এমন কোন এপ পাওয়া যেত, যেটা দেখতে হুবহু Casio Scientific Calculator  এর মত হবে, তাহলে কেমন হয়? তাহলে এখনি নিয়ে নাও Casio MS-991



৮। ডকুমেন্ট সেয়ারিংঃ

অনেক সময় পিসি তে মোবাইল থেকে অনেক ডকুমেন্ট ট্রান্সফার করতে হয়। অনেকেই ডেটা ক্যাবল ইউজ করি, অনেকেই shareit ইউজ করি, তবে যদি আরেকটু Smart কিছু ইউজ করা যেত, ধর তুমার ফোনের যেকোন ফাইলস তুমি ট্রান্সফার করার আগেই পিসি দিয়ে দেখে নিতে পারছো, সেটা হোক অডিও, ভিডিও বা ফটো!
তাহলে নিয়ে নাওঃ AirDroid

তুমার ফোনের হটসপট কানেক্ট করেই বা এক -ই LAN এর কানেকশনে ফ্রি তে যেকোন কিছু সেয়ার করতে পারবে।
আর যদি Android to Android বা IOS হয় তাহলে shareit ইউজ করতে পারো।


৯। নিউজ/পত্রিকাঃ

তুমি যে স্ট্রিমের স্টুডেন্ট ই হও না কেন, তুমার  নিশ্চই প্রিয় কিছু নিউজ সাইট বা ওয়েব সাইট রয়েছে, যেগুলোর আপডেট তুমি মিস করতে চাওনা।
ধর, আমার ইন্টারেষ্টের কথা বলি, আমি টেকনোলজি বা গিক টেক রিলেটেড সাইট খুব পছন্দ করি, হিসেব করলে সাইটগুলোর সংখ্যা কয়েকশত হয়ে যাবে।  এখন এটা ত অসম্ভব, প্রতিটা সাইটে নিয়মিত সার্ফ করা। তাই আমি সেসব সাইট গুলোর address একটা এপের ভেতর ইন্সার্ট করে দিয়েছি, এখন নতুন যে পোষ্ট ই হোক না কেন, আমি সাথে সাথে সেটি পড়তে পারছি, কষ্ট করে বার বার সেই সাইটে ভিজিট করতে হচ্ছেনা।

এতক্ষন যে বিষয় টা  নিয়ে কথা বললাম, সেটা হলো RSS FEED. RSS FEED কি সেটা গুগল করলেই বুঝে যাবে।

প্রথমে তুমাকে feed.ly থেকে একটা account খুলে নিতে হবে, তারপর সেখানে তুমার প্রিয় ওয়েব সাইট গুলো এড করে দাও, ব্যাস, এখন তুমি যদি PC USER হও, তাহলে নামিয়ে নাও, NEXTGEN

আর যদি মোবাইল ইউজার হও, নামিয়ে নাও, FEEDLY

এরপর তুমার সেই feedlyএর যে পাসওয়ার্ড আর ইমেইল ছিল সেটি দিয়ে feedly বা NEXTGEN এ লগ ইন করে নাও।


১০। স্ক্রিনশটঃ

যারা পিসি ইউজার তাদের জন্য আলাদা করে কোন screenshot এপ নেয়ার প্রয়োজন নেই। তবে ব্রাওজারের জন্য মাঝে মাঝে পুরো website এর স্ক্রিনশট নেয়ার প্রয়োজন হয়। এজন্য বেষ্ট হলো, 1Click 

যারা android user তাদের ফোনের ডেফল্ট কিছু কি চাপলেই স্ক্রিনশট হয়ে যায়, তবে মাঝে মাঝে Customize করার প্রয়োজন পড়ে। কোন কিছু হাইলাইটের জন্য বা টেক্সট-ইমুজি এড করার জন্য, তাই ইউজ করতে পারোঃ FooView
এই এপ দিয়ে তুমি মাল্টিপল টেক্সট কপি করার পর সব কপি করা TEXT গুলো ক্লিপ বোর্ডের মত থেকে যাবে।


১১। EYE-Protector:

অনেকেই laptop বা mobile এ ঘন্টার পড় ঘন্টা বই পরে কাটিয়ে দেয়। দীর্ঘক্ষণ এভাবে Display-এর দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের বারো-টা বেজে যায়। তাই ইউস করতে পারো এই software টি।
যারা windows 10 USER, তাদের জন্য default করে night mode option দিয়ে রাখা হয়েছে (after 1709 version)

যারা Mac, win7, 8, 8,1 ইউজার তারা ইউজ করতে পারো, Flux
আর android user জন্যঃ twillight Pro


১২। মিডিয়া প্লেয়ারঃ

দিনের অনেকটা সময় আমরা Youtube দেখে কাটাই, অনেকেই টিভি দেখি, গান শুনি বা মুভি দেখি।  যদি এই সবগুলা ফিচার একসাথে পাওয়া যায়, কেমন হয়?
এজন্য Download করে নাও, Cherry Player

এটি দিয়ে তুমি Youtube, VK, twitch, billboard, BBC, lastfm, IPTV বা তুমার কাস্টম যেকোন মিডিয়া তুমি প্লে করতে পারবে। TV এর জন্য অনলাইন থেকে m3u8 চ্যানেল লিস্ট খুজে নিতে হবে।


১৩। অক্সফোর্ড ডিকশনারীঃ 9th Edition

এই ডিকশনারী সম্পর্কে ডিটেল কিছু বলার নেই। সবাই জানো এটা world এর best ডিকশনারী। পুরো ডেটাবেজ ডাওনলোড করে নাও।
 Android user রা install এর পর Data file টিকে Phone Memory>Android>Data তে পেস্ট করে ডাও।
IOS User রা শুধু ইন্সটল করলেই হবে।

 

WINDOWS GENUINE ACTIVE

S.M.Virus


কিভাবে windows জেনুইন এক্টিভেট করবেন?

নতুন পিসি, নতুন windows, দু দিন পর আপনার windows expired. বিরক্তির শেষ থাকেনা। অনেকেই দেখি KMSpico, reloader ইউস করেন, কিন্তু এন্টি ভাইরাস বা এন্টি ম্যালওয়্যার স্ক্যানের পর ভাইরাস মনে করে ডিলেট করে দেয়। খুব প্যারা তাইনা?

যাইহোক, আর প্যারা নিতে হবেনা। এমন কি এক্টিভ করার জন্য কোন সফট ওয়্যার ও লাগবেনা।

এজন্য কিছু স্টেপ আপনাকে অবশ্যই ফলো করতে হবে।
১। নতুন করে windows দিন, একদম ফ্রেস windows. ডাওনলোড করুন এখান থেকে। (pass: rialms)
২। আপডেট করে নিন যতক্ষন আপডেট নিতে চায়।
৩। ইনস্টল এর সময় কোন প্রোডাক্ট কি ইউজ করবেন না। স্কিপ করে যাবেন।
৪। ইনস্টল এর পর ২৪ ঘন্টা সময় দিন পিসি কে। 
৫। ২৪ঘন্টায় যত আপডেট দরকার দিয়ে নিন। 
৬। একটা ব্রাওজার শুধু ইনস্টল দিন, ক্রোম বা ফায়ারফক্স। আর কিছু আপাদত বাদ।
৭। ড্রাইভার-windows upgrade যত কিছু দরকার সব দিয়ে নিন।
৮। Driver আপনার পিসি যে ব্রান্ডের তার অফিসিয়াল সাইট থেকে নামাবেন।
৯। windows 10 হলে বিল্ট ইন এন্টি ভাইরাস, windows defender আপডেট করে এক্টিভ করে নিন।
১০। ফায়ার ওয়াল চালু করে নিন।
মোট কথা হচ্ছে, যত রকম বিল্ট ইন কাজ দরকার করে নিন।

২৪ ঘন্টা পর...

আমি ধরে নিচ্ছি আপনার পিসি এক্টিভেশন ছাড়া আর বাকি সব আপ-টু-ডেট।
এখন, চলুন কাজ শুরু করা যাক।


প্রথমে আপনার পিসিতে ইন্টারনেট কানেক্টকরুন।
এরপর আমার এই লিংকে গিয়ে পুরো কোড টি কপি করুন, এর পর কপি করা কোড টি windows এর notepad এ পেস্ট করুন। এবং সেভ করুন... activator.bat নাম দিয়ে।

এবার যে ফাইল টি আপনি সেভ করেছেন, সেটি সিলেক্ট করে, মাউসের রাইট ক্লিকে চাপুন, এবং run as administrator সিলেক্ট করে প্রেস করুন। এর পর ১০-৩০সেকেন্ড অপেক্ষা করুন।
আপনার ইন্টারনেট স্পিড মুটামুটি ভালো থাকতে হবে।
ব্যাস, কিছুক্ষনের মাঝেই দেখবেন, windows successfully activated এই লেখাটি দেখাবে।

* যদি না দেখায়। তা হলে, হয় আপনার নেট স্পিড নেই
- So, try again and again

উপরের যেকোন সমস্যা হলে, ভিপিএন ইউজ করুন, আর আপনার নেট চলছে কি না চেক করুন।
আর ৩নাম্বার প্রব্লেম হলে কিছু করার নেই আপাদত, আপনি ১ঘন্টা পর আবার চেষ্টা করুন।

যদিও ৩নাম্বার প্রব্লেমে এখন পর্যন্ত মাত্র ৪-৫জন পড়েছে, আপনার ভাগ্য যদি ৬নাম্বার ব্যক্তির লিস্ট থাকে, আমি কি করতে পারি বলুন? অপেক্ষা করুন ২-১ঘন্টা আর কি!

আর যদি না বুঝেন এতক্ষন কি বক বক করলাম তাহলে নিচের ভিডিও টি দেখুন। পরিস্কার হয়ে যাবে।


 

Secured Your Facebook ID

S.M.Virus


ফেসবুক আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটা অপরিহার্য অংশ হয়ে দাড়িয়েছে, যেখানে প্রতিনিয়ত আমাদের বন্ধু-বান্ধব এবং সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ, এবং নিজেদের একটি এক্সটেনশন তৈরি করছি। সহজ কথায়, আমাদের ফেসবুক প্রোফাইলটি আমাদের নিজেরদের বাহ্যিক একটা রেপ্লিকা, আর আপনার এই ফেসবুক একাউন্টটি যদি হ্যাক করা  হয়, এটি আমাদের কাছে কতটা সেন্সেটিভ হয়ে দাঁড়াবে!
প্রতিদিন একবেলা ফেসবুক, মেসেঞ্জার। উহু! না হলে চলেই না!


তো এখন কি আপনার উচিত নয় এই সেন্সেটিভ রেপ্লিকা টির প্রটেকশন নিশ্চিত করা? তো চলুন যে সব বিষয়ে আমাদের নজর না দিলেই নয়।


টপিক্সঃ
- কিভাবে ফেসবুকের নিরাপত্তা দিবেন?
- পাসওয়ার্ড প্রটেকশন
- লগ ইন এলার্ট
- Two step ভেরিফিকেশন
- বিশ্বাসযোগ্য লিষ্ট
- ব্রাওজার এবং এপ এর নিরাপত্তা
- ফ্রেন্ড লিস্ট
- ফেসবুক প্রাইভেসি সেটিংস
- নিউজ ফিড
-  ফিসিং
- ইমেইল বা এসএমএস স্পাম


১। পাসওয়ার্ডঃ 

একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করুন। আপনার পাসওয়ার্ড কখনই আপনার নাম, জন্ম তারিখ, পোষা প্রাণী বা সাধারণ শব্দগুলি এড়িয়ে চলুন।

কেন?
কারন ফেসবুকে লগ ইন করতে ইমেইল, ফোন নাম্বার আর পাসওয়ার্ডের প্রয়োজন। আপনার ফোন নাম্বার, ইমেইল একজনের জানা খুব কঠিন কিছু না। পরিচিত যে

কারও কাছেই এগুলো থাকবে। এখন আপনার পাসওয়ার্ড যদি হয় ০১১৮১৯৯৬, বা ১২৩৪৫৬, ৬৫৪৩২১ বা আপনার খুব কমন কিছু, যেগুলো আপনার ফেসবুক পোষ্ট

বা মেসেঞ্জারে কথা বলার সময় ইউস করেন, তো এটা কি ফেসবুক হ্যাক করার জন্য সহজ না?
এমন পাসওয়ার্ড দিন, যেটি আপনার মনে রাখতেই আপনি হিমসিম খাবেন। পাসওয়ার্ডে নাম্বার+এলফাবেট+কিবোর্ডের আজগুবি চিহ্ন গুলো দিয়ে দিন। পাসওয়ার্ড যত বড়

দিবেন তত ভালো।

ধরুন আপনার পাসওয়ার্ডঃ ABde12 (এখানে ৬টা কেরেক্টার আছে)
ধরুন আপনার ইমেইলঃ abcde@gmail.com

এটা কি হ্যাক করতে পারবে?
উত্তরঃ হা পারবে, কিন্তু সময় লাগবে। 

পাসওয়ার্ড কিভাবে হ্যাক হয়?
পাসওয়ার্ড ভাঙ্গার অনেক প্রোগ্রাম আছে, কোন একটা প্রোগ্রাম কে বলা হলো, তুমি A-Z, a-z, 1-0 এ যতগুলো ক্যারেক্টার আছে সবগুলো চেক কর, পরিচিত শব্দগুলোও চেক কর, সর্বোচ্চ ক্যারেক্টার যেন ৬ টা হয়। সাথে বলা হলো, প্রতিটা পাসওয়ার্ড যেন, facebook.com/login.php সার্ভারে গিয়ে ইনপুট করা হয়। লগ ইন হয়ে গেলে যেন জানানো হয়।

*facebook.com/login.php হলো ফেসবুক লগ ইন পেজ।

প্রোগামটি কাজ করা শুরু করল, পাসওয়ার্ডঃ AAaa11,... AAba11,... AAab11,..., ABdd12,... ABde12

Program Result=Found: ABde12


তো এখন কত সময় লাগবে আপনার পাসওয়ার্ড পেতে?

১ঘন্টা? ২ঘন্টা? ১০ঘন্টা?
এটা নির্ভর করবে যে প্রোগ্রামটি কত ফাস্ট! যে কম্পিউটারে প্রোগ্রাম টি চলছে সেটি কত দ্রুত কাজ করতে পারে!

স্বাভাবিক ভাবে এই পাসওয়ার্ডটি পেতে সর্বোচ্চ ২-৩ ঘন্টা সময় লাগবে!

এখন বলতে পারেন, তাহলে তো যেমন ই পাসওয়ার্ড ই দেই না কেন, হ্যাক ত হবেই। হা হবেই। শুধু সময়ের ব্যাপার। যত ছোট পাসওয়ার্ড তত দ্রুত হ্যাক!

আপনার কি-বোর্ডে যে কয়টা চিহ্ন আছে, সবার কাছে সেই কয়টাই চিহ্ন আছে। আপনি কি-বোর্ড দিয়ে আপনার পাসওয়ার্ড দিয়েছেন, যে হ্যাক করবে তার কি-বোর্ডেও তো সমান বাটন, তো পাসওয়ার্ড ত হ্যাক করা কঠিন কিছু না। শুধু সময়ের ব্যাপার।

এখন আপনার কি করনীয়?
১। আপনি মানুষ টা যত ছোটই হোন, আপনার পাসওয়ার্ড যে মুটামুটি বড় সাইজ হয়।
২। অবশ্যই আনকমন।
৩। এই পাসওয়ার্ড আপনি পৃথিবীর আর কোথাও ইউস করবেন না।
৪। কমন শব্দ যেন না থাকে।
৫। এমন কোথাও লিখে রাখবেন না, যেখানে অন্য কারোও নজরে পড়ে।
৬। যে ব্রাউজার দিয়ে লগ ইন করবেন, সেখানে পাসওয়ার্ড দেয়ার পর পর সেভ করতে বলে, এটা ভুলেও করবে না, যদি আপনি আপনার ব্রাউজারের প্রটেকশন দিতে পারেন তা হলে আলাদা কথা।
৭। যার তার মোবাইল, কম্পিউটার পেলেই আপনার ফেসবুকে ঢুকবেন না।

পাসওয়ার্ড তো দিলাম, 123ffser*7(*&*($Y|}*{_$$UGGUDBIPCU*(#Y#(#Y^C

এখন কি আমার একাউন্ট নিরাপদ?
উত্তরঃ আপনি কেবল হ্যাকিং এর একটা ধাপ বন্ধ করলেন।

আর কতগুলো ধাপ আছে, আপনি জানেন?

২। LOG IN alert চালু করুনঃ

এই লিংকে বা facebook settings>Security and login>Get alerts about unrecognized logins
 এ গিয়ে এটি চালু করে দিন।

কেন চালু করবেন?
এটি চালু করলে, যে ই আপনার ফেসবুকে লগ ইন করবে , সাথে সাথে আপনার কাছে ইমেইল, মেসেজ, বা ফেসবুকে জানিয়ে দিবে। আপনি দেখার সাথে সাথে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।


৩। Two step verification চালু করুনঃ 

এই লিংকে বা facebook settings>Security and login>Use two-factor authentication
 এ গিয়ে এটি চালু করে দিন।

কেন করবেন?
আপনি যখন লগ ইন করতে চাইবেন, আপনার পাসওয়ার্ড দেয়ার পর, একটি কোড যাবে আপনার কাছে, (মেসেজ, ইমেইল, Facebook app, Authentication app)

এই কোড দেয়ার পর আপনি facebook এ ঢুকতে পারবেন। যতবার নতুন নতুন ডিভাইস, কুকিস থেকে লগ ইন করবেন, ততবার নতুন নতুন কোড যাবে।
সো, আপনার পাসওয়ার্ড কেউ জানলেও লগ ইন করা কষ্টকর হয়ে যাবে।


কিভাবে faebook app, Authentication app এ আমি লগ ইন কোড পাব?


৪। Choose Trusted Contacts: 

এখন ধরুন এতকিছু করার পরেও হ্যাকারের কোন একটা ফাঁদে আপনি পা দিয়ে ফেললেন, আপনার একাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলো। মাথা নষ্ট! কি করবেন?
আপনার পাঁচ হাজার বন্ধুদের মাঝে ত ৫-৬জন আছে যাকে আপনি নিজের চেয়েও বেশি বিশ্বাস করেন! আছে না?
আপনার মা, বাবা, ভাই, বোন, বা আপনার হাসব্যন্ড বা ওয়াইফ!
হা, তাদের Trusted Contacts লিস্টে এড করে দিন। এখন যদি আপনার ফেসবুক হ্যাক হয়, এদের আইডি দিয়ে ফেসবুকে রিকোয়েস্ট করলে আপনার আইডি ফিরে পাবেন।



৫। Review Your Browsers and Apps: 

আপনি গত এক মাসে ১০ টা ডিভাইস দিয়ে আপনার ফেসবুকে ঢুকেছিলেন, এখন সেই ১০টার মাঝে 

৫টা ডিভাইস আপনি কাউকে দিয়ে দিয়েছেন। আপনি কি জানেন, আপনি যখনই ফেসবুকে লগ ইন করবেন, আপনার ডিভাইসের আইপি এড্রেস আর লোকেশন ফেসবুক 

সেভ করে রাখে, আপনি চাইলে পরবর্তীতে অইসব ডিভাইস থেকে আপনার আইডি তে ঢুকতে পারবেন।
তো আপনার কি উচিত নয়, আগের ডিভাইস গুলোর আইপি আর লোকেশন মুছে দেয়া?

হা, এটা করা উচিত। কারন ডিভাইস টি আপনার হাতে নেই।

এই লিংকে বা facebook settings>Security and login>Where you're logged in
এ গিয়ে আগের লগিন করা ডিভাইস গুলো ডিলেট করে দিন।


৬। অপরিচিত দের না জেনে ফ্রেন্ড লিস্টে এড করবেন নাঃ

 আপনার কাছে অনেক ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসে। আপনি কয়জন কে চিনেন?
আগে তার সম্পর্কে জেনে নিন, বিশ্বাস যোগ্য?

৭। ফেসবুক প্রাইভেসি সেটিংসঃ 

এটি খুব গুরুত্ব পূর্ণ। 
অথবা, facebook settings>Privacy Settings and Tools

> Who can see your future posts?
আপনার পোষ্ট গুলো কে কে দেখবে?
* আপনার ইচ্ছা।

> Who can see your friends list?
আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে কে কে আছে, এটা কারা দেখতে পারবে?
* only me করে রাখুন।

> Review all your posts and things you're tagged in?
* এটা চালু করে রাখুন। যে ই আপনাকে কিছু ট্যাগ করবে, আপনার পারমিশন ছাড়া আপনার প্রোফাইলে আসবে না।

> Who can contact me?
* আপনার ইচ্ছা।

>Who can send you friend requests?
আপনাকে কে কে ফ্রেন্ড রিকুইয়েস্ট দিতে পারবে?
* Friends of Friends

> Who can look you up using the email address you provided?
আপনার ইমেইল দিয়ে সার্চ দিলে আপনার আইডি পেয়ে যাবে, এটা কার কার সাথে সেয়ার করবেন?
* আপনার ইচ্ছা।

> Who can look you up using the phone number you provided?
আপনার ফোন নাম্বার দিয়ে সার্চ দিলে আপনার আইডি পেয়ে যাবে, এটা কার কার সাথে সেয়ার করবেন?
* আপনার ইচ্ছা। Only me রাখা ভালো।

> Do you want search engines outside of Facebook to link to your Profile?
Google, Bing, Yahoo এর মত সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে সার্চ দিলে আপনার আইডি পাওয়া যাবে, এটা কি চালু করতে চান?
* আপনার ইচ্ছা।


৮। নিউজ ফিডঃ

ফেসবুকে অনেক পেজ, গ্রুপ, ফ্রেন্ড্ররা অনেক কিছুই সেয়ার করে। দেখবেন অনেকেই লিংক দিয়ে দেয়, অন্য কোন ওয়েবসাইটের লিংক, যেমনঃ

খবরের জন্য পোষ্ট পেলেন, সাথে সাথে ক্লিক করে ফেললেন। লিংক টা কি আপনার পরিচিত? বিশ্বাসযোগ্য? যদি না জেনে ক্লিক করেন?

এতে কি হয়?
কিছছু হয় না। আপনি লিংকে গিয়ে নিউজ পড়লেন, আপনি জানলেন ও না হিডেন স্ক্রিপ্ট আপনার ব্রাউজারের সব কুকিজ নিয়ে নিল।
কুকিজ কি? আপনার সফটয়ার এর ডেটা, যেখানে আপনার অনেক কিছু থাকে, সাথে আপনার পাসওয়ার্ড এবং  লগ ইন ইনফরমেশন গুলোও থাকে।

বিস্তারিতঃ কুকিজ

সো, ফেসবুক নিউজ ফিডে যা পাবেন তাতেই ক্লিক করে বসবেন না। খুব সাবধান!


৯। ফেসবুকের ওয়েব এড্ড্রেসঃ

facebook.com
fb.com
mbasic.facebook.com
touch.facebook.com

আর বাকি যা আছে,
সব এমনঃ
xxxx.facebook.com

xxxx এখানে অনেক কিছুই আছে, এগুলোকে বলে sub domain । এসব শুধু facebook developer দের জন্য, আপনি যদি সাধারন facebook ইউজার হোন, তাহলে, এই চারটি লিংক ছাড়া আর কোন লিংকে যাবেন নাঃ
facebook.com
fb.com
mbasic.facebook.com
touch.facebook.com
এখন আপনাকে আপনার এক ফেসবুক ফ্রেন্ড একটা লিংক দিলঃ

faaaaceeeebooook.com

বলল ফেসবুকের নতুন লিংক, বা আরো কিছু! আপনি ক্লিক করে দেখলেন, ফেসবুক!
log in করতে বলতেছে।

ভুলেও এইসব লিংকে যাবেন না। বা ফেসবুক ভেবে পাসওয়ার্ড দিয়ে বসবেন না।
এইসব ওয়েবসাইট পুরো ফেসবুকে কপি। এদের বলা হয় "Phishing"
আপনাকে বোকা বানিয়ে আপনার account এর পাসওয়ার্ড নিয়ে নিবে।


* এমন কিছু দেখলে, রিপোর্ট অপশন চালু আছে, ফেসবুকে রিপোর্ট করে দিবেন।



১০। ইমেইল বা এসএমএস লিংকঃ

আপনার কাছে কোন মেসেজ বা ইমেই আসলো, বলা হলো আপনার ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হয়েছে, রিকোভার করতে এই লিংকে যান।
এসব ক্ষেত্রে দেখবেন কোথা থেকে ইমেইল বা মেসেজ টি এসেছে?

ফেসবুকের ইমেইলঃ
noreply@facebookmail.com
notification+zj426s0z6c0c@facebookmail.com
security@facebookmail.com
info@facebook.com

ফেসবুকের মেসেজ নাম্বারঃ 32665


যদি উপরের কোনটা হয়, trust করতে পারেন। কিন্তু ভিন্ন কিছু হলে ignore করুন।

১১। প্রিটেনডিং রিপোর্ট । Pretending Report

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে প্রচলিত শব্দ এটি! প্রিটেনডিং রিপোর্ট। এর মাধ্যমে যে কারোও আইডি হ্যাক করে ফেলা যাচ্ছে! যদিও এই অপশন টি চালু করা হয়েছে ফেসবুকের নিরাপত্তার জন্য, কিন্তু সাধারণ মানুষ এটা না জানার জন্য, নিজেরাই বিপদে পড়ে যাচ্ছে। চলুন জেনে নেই এটি আসলে কি?

"ধরুন আপনার আইডি যেকোন ভাবেই হোক কেউ হ্যাক করে ফেলল! হ্যাক করে আইডির পাসওয়ার্ড, ইমেইল, ফোন নাম্বার, ট্রাস্টেড কন্ট্রাক্ট সব অবশন চেঞ্জ করে দিয়েছে হ্যাকার। আপনার হাতে এখন কোন ওয়ে নেই আপনার আইডি ফিরে পাওয়ার। কি করবেন আপনি? ফেসবুকে রিকোভারি অবশন টাও ট্রাই করে দেখেছেন, কিন্তু আইডি ত আর ফিরে আসে না! এখন একটাই উপায় আপনি জানেন, তা হলো, অনেক অনেক রিপোর্ট করে, সেই আইডি পার্মানেন্ট ডিজেবল করে দেয়া! কিন্তু এটা কি কোন সলুউসান হলো? আপনার ত আইডি ফিরে পেতে হবে। 

যাইহোক, এরপরও ফেসবুক আপনার জন্য একটা অপশন চালু রেখে দিয়েছে। যাকে বলে প্রিটেনডিং রিপোর্ট। যার সাহায্যে আপনার সেই আইডি ফিরে পাবেন।

চলুন তাহলে শুরু করা যাক,

একটা আইডি খুলুন, নতুন আইডি। হ্যাক হওয়া আইডি থেকে একটু পুরাতন আইডি থাকলে সেটি অনেক ভালো কাজে দেয়। তবে নতুন আইডিতেও হবে।
 
আপনার হ্যাক হওয়া আইডির নামে, পুরো ক্লোণ, নাম(পাসপোর্টে যেমন রয়েছে তেমন দিবেন), বয়স, প্রো-পিক। আপলোড করা আগের প্রোফাইল পিক(আইডির মালিকের পিক) এই আইডিতেও অনলি মি প্রাইভেসি করে আপলোড দিয়ে ফেলুন। নতুন আইডির বয়স ১দিন বা ২৪ঘন্টা হতে দিন। আইডি টি সর্বোচ্চ প্রটেকশন দিয়ে ফেলুন উপরে যা যা বলা হয়েছে সেভাবে। ফ্রেন্ড বানিয়ে ফেলুন ১০ বা তারও বেশি, যে ফ্রেন্ড গুলো আগের হ্যাক হওয়া আইডিতে ছিল। কয়েক জন ট্রাস্টেড ফ্রেন্ড কে ট্রাস্টেড কন্ট্রাক লিস্টে এড করে ফেলুন। এবার কিছু ডকুমেন্ট এবং রিকোয়েরমেন্ট লাগবে।
  • পাসপোর্ট বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড এবং তা ভালো স্ক্যানার দিয়ে একটি এইচডি স্ক্যান করে ফেলুন।
  • মাঝে মাঝে আইডি কার্ড দিয়ে হয়না, তাই তখন পাসপোর্ট ছাড়া উপায় থাকেনা।
  • তাই পাসপোর্ট হলে আইডি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • নতুন আইডির নাম যেন আপনার পাসপোর্ট বা আইডি কার্ডের সাথে দাড়ি কমা সহ ঠিক থাকে।
  • পুরাতন আইডির নাম আর নতুন আইডির নাম এক না হলেও হবে, তবে বয়স যেন ঠিক থাকে।
  • নতুন আইডি পুরাতন আইডি এবং আপনার পাসপোর্ট বা আইডি কার্ডের বয়স যেন একই থাকে। যদি হ্যাক করার পর পুরাতন আইডির বয়স চেঞ্জ করে ফেলে তাহলে কোন টেনশন নেই।
  • আবার বলছি পাসপোর্ট বা আইডি কার্ডের বয়স এবং আইডির দেয়া বয়স একই হতে হবে।
এবার চলুন মাঠে নামি।
আপনার নতুন খোলা আইডি দিয়ে আপনার হ্যাক হওয়া আইডিতে ভিসিট করুন। হ্যাক হওয়া আইডির নিচের স্ক্রিনশটের মত "Pretending report & ME" করুন, এবং Report to facebook করে সেন্ড করে দিন।



Done করে বেরিয়ে আসুন। আইডিকে ব্লক করবেন না, Hide all from .... এটাও করবেন না। just report to facebook করে বেরিয়ে আসুন।

এবার ৮ থেকে ৩৬ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। এর মাঝেই আপনার নতুন খোলা আইডি টি বন্ধ হয়ে যাবে। ভয় পাবেন না। এটাই ঠিক আছে। আবার আবার লগ ইন করুন আপনার নতুন খোলা আইডি তে,

দেখাবে, Your ID is temporary disable অথবা এমন কিছু। যাইহোক আপনাকে ভেরিফাই করতে বলবে। আপনার কাজ হলো যা যা বলবে স্টেপ বাই স্টেপ ফলো করা। এবং বলবে আপনার ভেরিফিকেশন এর জন্য আপনার ডকুমেন্টস আপলোড করুন। এবার আপনার পাসপোর্টের স্ক্যান কপি আপলোড করে দিন। সব কিছু যা যা বলে, ঠিক ঠাক মত করে সাবমিট দিয়ে এবার একটা ঘুম দিন। আবার ৮ থেকে ৩৬ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। এর মাঝেই আপনি আপনার পুরাতন আইডি ফিরে পেয়ে যাবেন এবং নতুন আইডি ডিলেট হয়ে যাবে।




অন্যান্য বিষয়ে সতর্কতাঃ

১। ফ্রি wifi পেলেই কানেক্ট করে বসবেন না।
- যদি কানেক্ট করতেই হয়, কানেক্ট করার সাথে সাথে VPN চালু করে দিন।
[VPN কি? কোন ভিপিএন ভালো? বিস্তারিতঃ এখানে]
২। ফেসবুকের অনেক মোডেড এপ আছে, সেগুলো ভুলেও ইউস করবেন না।
৩। ফেসবুক এপ শুধুমাত্র প্লে-স্টোর বা এপ স্টোর থেকে ডাওনলোড করবেন।
৪। সন্দেহ জনক কিছু দেখলে রিপোর্ট করুন।
৫। কারো কাছ থেকে ফেসবুক নিয়ে ইউস করবেন না।
৬। গুগলে অনেক আজাইরা জিনিস আছে, দেখেশুনে একসেস করবেন।

৭। দুইটি ব্রাওজার রাখুন আপনার ডিভাইসে, একটি দিয়ে আপনার সোসাল সাইট গুলো সার্ফিং করুন, এই ব্রাওজার দিয়ে ভুলেও আউল-ফাউল লিংকে যাবে না, ২য় ব্রাওজার টি আপনার দৈনিন্দিন সার্চের জন্য রাখুন।

 

Create ANDROID APP & Publish

S.M.Virus


কিভাবে কোডিং না করে, গ্রাফিক্যালি একটা এন্ড্রোয়েড এপ বানানো যায়? এবং গুগল প্লে স্টোরে সাবমিট করা যায়?

- আমরা কত এপ-ই না ইউজ করি, এন্ড্রোয়েড আসার পর ত এপ যেন মিলিয়ন কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। অথচ এই মিলিয়ন কোটি ইউজারের মধ্যে কিছু এপ আছে যাদের আমরা একসেপশনাল হিসেবে ইউজ করি। স্বাভাবিক জীবন যেন অচল এই এপগুলো ছাড়া। কিন্তু যারা কষ্ট করে এসব এপ বানাচ্ছে, তাদের কি লাভ হচ্ছে? বেশির ভাগ এপ-ই ত ফ্রি তে নামাই আমরা, ফ্রি না পেলেও মোড করে নিতে দু-মিনিট ভাবতে হয়না আমাদের।

আর এইসব ফ্রি সার্ভিস দেয়া এপ গুলোর বেশির ভাগ - ই দেখি আমরা এডস দিয়ে ভর্তি। এসব এডস কেন দেয়? কেমন ইনকাম হয় এসবে? আদৌ কি ইনকাম হয়??

- আপনার জ্ঞাতার্থে বলছি, আপনার একটা এডস দেয়া এপ যদি দশ হাজার মানুষ কনটিনিউয়াস ইউজ করে আপনি প্রতি মাসে পাঁচ থেকে দশ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন! বিশ্বাস হয়?

না হলে গুগলে সার্চ দিয়ে দেখে আসুন Shareit এপটির প্রতি দিন ইনকাম কত লাখ টাকা?

এখন নিশ্চই মনে মনে ভাবছেন আমি কেন বসে আছি? আমিও ত এমন একটা এপ বানাতেই পারি!

এপ বানাতে কি লাগে?

- কোডিং নলেজ বা না হলেও হবে
- আইডিয়া, কেমন টাইপের এপ বানালে বেশি মার্কেট খাবে
- কিছু মেগাবাইট খরচ।
- ২৫ ডলার দিয়ে প্লে স্টোরে একটি একাউন্ট।

আর কিছু দরকার নেই।

১। কোডিং নলেজ দরকার?
- কোডিং নলেজ হলে ভাল, জাভা পারেন, সি-প্লাস প্লাস পারেন? বা পাইথন? বা এঙ্গুলার জেএস? চলবে । যেকোন একটা পারলেও চলবে। আবার কোন কোডিং ও যদি না পারেন তবুও চলবে।

- কোডিং জানলে সুবিধা হলো, যেভাবে ইচ্ছা আপনার ঠিক সেভাবে মনের মত করে এপ বানাতে পারছেন। কোন রেস্ট্রিকশন নেই।
- কোডিং না জানলে অসুবিধা হচ্ছে, আপনাকে কিছু লিমিটেড স্টাইল লে-আউট এবং টুলস দিবে, সেগুলো ব্যাবহার করে আপনার এপ বানাতে হবে। হয়তো কপিরাইট থাকবে অন্য কোন কোম্পানির নাম বা না ও থাকতে পারে।

তবে এপ বানানোই যদি লক্ষ্য হয় তাহলে বলব, এই লিংকে যান, কোডিং শিখুন।

আর টাকা ইনকাম যদি লক্ষ্য হয়, তাহলে এই পোষ্ট টি আপনাকে সে নির্দেশনা দিবে।

২। আইডিয়াঃ
আইডিয়া এপ বানানোর জন্য এবং টাকা ইনকামের জন্য প্রথম এবং প্রধান স্টেপ।
আপনার আইডিয়া লাগবেই। মার্কেটে পাব্লিক কি কি এপ বেশি খুজে, কি কি এপ বেশি দরকার পরে? কি টাইপের এপ বানালে চলবে ভালো? এগুলো মাথায় রাখতে হবে।
- হতে পারে একটা টিভি দেখার এপ, বা ইনফরমেশন টাইপ এপ বা বই গল্প উপন্যাস পড়ার এপ।
যেকোন কিছুই হতে পারে। সো, আইডিয়া লাগবে।

৩। কিছু মেগাবাইট খরচঃ
- এই পোষ্টে কিছু টুলস এবং টিউটোরিয়াল দিব, যা আপনাকে ডাওনলোড বা স্ট্রিম করে দেখতে হবে। এবং সে অনুযায়ী আপনাকে এপ বানাতে হবে। আমরা গাইড লাইন দিব আপনি আপনার আইডিয়া মত কাজ করবেন।

৪। ২৫ ডলারঃ
এটা লাগবেই। Google PlayStore এ এপ সাবমিটের জন্য আপনাকে প্রথমবার ২৫ডলার দিয়ে একটা একাউন্ট খুলে নিতে হবে, এটা আপনি টিম করেও করতে পারেন। বা একা-ও করতে পারেন। একবার একাউন্ট খুলে ফেললেই আপনি সারাজীবন আনলিমিটেড এপ আপলোড করে যেতে পারবেন।
ভালো একটা মাস্টার কার্ড বা ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড ব্যাবহার করে আপনাকে টাকাটা পে করতে হবে।


এখন চলুন জেনে নেই, ইনকাম কিভাবে হবে?
- ইনকামের জন্য যা না তা বিশ্বাস করে বসবেন না।  আমরা আপনাকে সাজেস্ট করব, এড দেয়ার জন্য গুগল এডমোব ইউজ করবেন, অনলাইনে আরো অনেক এড কোম্পানি আছে যেমন আরেকটি পপুলার হলো এপ নেক্সট।
কিন্তু আমরা আপনাকে সাজেস্ট করব, আপনি এডমোবেই সন্তুষ্ট থাকুন। কারন আপনি কোডিং না করে এপ বানাচ্ছেন। এডমোব নিয়ে বিস্তারিত আমাদের দেয়া নিচের ভিডিও টিউটোরিয়াল এই পাবেন।



কিছু টিপ্সঃ
- একটা ফ্রেস গুগল একাউন্ট
- একাউন্ট এ ঢোকার সময় ভিপিএন ইউজ করবেন না।
- নিজের এপ নিজে ডাওনলোড করবেন না, এড দেখবেন না।
- এপ প্রোমট এর জন্য ফেসবুক বুস্টিং ইউজ করুন।

সফটওয়ারঃ
১। APK Easy TOOL : Windows এর জন্য এটি। এটি দিয়ে যেকোন android app ভেঙ্গে ভেতরে কি কি কোডিং আছে দেখতে পারবেন। এটি কাজে লাগবে কোন ডেটা কপি করতে ।
২। Google Chrome Beta : এটি windows এর জন্য। শুধুমাত্র গুগল প্লে স্টোরে এক্সেস করার জন্য এবং এপ বানানোর জন্য ইউজ করবেন।
৩। Canva : APP এর লগো, ব্যানার, থাম্নাইল কভার বানানোর জন্য এটি একটি অননাইল এপ।
৪। apk editor pro : এটি আপনার Android phone এর জন্য, যেন যেকোন এপ আপনি ভেঙ্গে ফোনেই দেখতে পারেন।
৫। HACK APP DATA : এটিও আপনার Android phone এর জন্য, যেন যেকোন এপ আপনি ভেঙ্গে ফোনেই দেখতে পারেন।
৬।  Notepad++ : এটি আপনার পিসির জন্য, টেক্সট এডিটিং এর জন্য।
৭। Sublime TEXT : এটি আপনার পিসির জন্য, কোড এডিটিং এর জন্য।
৮। Packet Capture : এটি আপনার ফোনের জন্য, যেন দেখতে পারেন যেকোন এপ এর ইন্টারনেট কানেকশন রান থাকলে, কি কি ইনকামিং এবং আউটগোয়িং ডেটা এবং URL এ একসেস নেয়।
৯। Fiddler : এটি আপনার পিসির জন্য, যেন দেখতে পারেন যেকোন এপ এর ইন্টারনেট কানেকশন রান থাকলে, কি কি ইনকামিং এবং আউটগোয়িং ডেটা এবং URL এ একসেস নেয়।

টিউটোরিয়াল ১ঃ


ওয়েবসাইট লিংকঃ CLICK HERE

টিউটোরিয়াল ২ঃ



ওয়েবসাইট লিংকঃ CLICK HERE